চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে গত ফেব্রুয়ারিতে গ্রেপ্তার করা হয় একটি প্রতারণা ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে। অভিযোগ ছিল, তিনি একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে উচ্চপদে থেকে কিছু অনিয়ম ও দুর্নীতির সঙ্গে জড়িয়ে পড়েন। এই অভিযোগের ভিত্তিতে তাকে গ্রেপ্তার করে সংশ্লিষ্ট আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনী। এরপর থেকেই তাঁর বিরুদ্ধে তদন্ত ও বিচার কার্যক্রম চলছিল।
তবে চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের পরিবার শুরু থেকেই দাবি করে আসছিল যে, তিনি সম্পূর্ণ নির্দোষ এবং রাজনৈতিক প্রভাব ও প্রতিপক্ষের ষড়যন্ত্রের শিকার হয়েছেন। তাদের দাবি ছিল, তাকে ফাঁসানো হয়েছে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে। জামিন পাওয়ার পর চিন্ময়ের স্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, "আমরা অনেক দিন ধরে অপেক্ষা করছিলাম। অবশেষে ন্যায়বিচার পেলাম। এখন আমরা চাই যেন সত্যটি প্রমাণিত হয় এবং তিনি সম্পূর্ণ নির্দোষ হিসেবে আদালত থেকে বেরিয়ে আসেন।"
চিন্ময়ের আইনজীবী আদালতে যুক্তি দেন যে, মামলার তদন্তে নতুন কোনো তথ্য আসেনি এবং তার মক্কেলের বিচারাধীন অবস্থায় জেলে থাকার আর কোনো যুক্তি নেই। মামলার মূল আলামত ও সাক্ষ্য ইতোমধ্যে সংগ্রহ করা হয়েছে এবং তিনি জামিনে থাকাকালীন তদন্তে প্রভাব ফেলবেন না। আদালত এই যুক্তি গ্রহণ করে তাঁকে শর্তসাপেক্ষে জামিন দেন।
জামিনে মুক্তি পেলেও চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের বিরুদ্ধে মামলা চলমান থাকবে এবং পরবর্তী শুনানির জন্য তাঁকে আদালতে হাজির হতে হবে। আদালত তাঁর পাসপোর্ট জমা দেওয়া, নির্দিষ্ট ঠিকানায় অবস্থান এবং তদন্ত কর্মকর্তার অনুমতি ছাড়া দেশত্যাগ না করার নির্দেশ দিয়েছে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এ নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। কেউ কেউ বলছেন, এটি ন্যায়বিচারের একটি ধাপ, আবার অনেকে বলছেন, প্রভাবশালীদের জন্য আইন আলাদা। এ ঘটনায় রাজনৈতিক মহলেও আলোচনার ঝড় উঠেছে।
চিন্ময় কৃষ্ণ দাস জামিন পেলেও এই মামলার রায় কী হবে, তা নিয়ে জনমনে কৌতূহল রয়ে গেছে। বিচারকাজ এখনো শেষ হয়নি এবং সকলের চোখ এখন পরবর্তী শুনানির দিকে।