নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞদের মতে, এই পরিকল্পনা মূলত “প্রি-এম্পটিভ স্ট্রাইক” বা আগাম হামলার কৌশলের অংশ, যার মাধ্যমে সম্ভাব্য সন্ত্রাসী হামলা প্রতিরোধ করা যায়। ভারত আগে থেকেই দাবি করে আসছে যে পাকিস্তান সন্ত্রাসবাদকে আশ্রয়-প্রশ্রয় দিচ্ছে, বিশেষ করে পুলওয়ামা এবং উরি হামলার পর এই অভিযোগ আরও প্রবল হয়েছে।
পাকিস্তানের তরফ থেকেও একাধিক সূত্র জানিয়েছে যে তাদের সেনাবাহিনী সম্পূর্ণ প্রস্তুত রয়েছে এবং যেকোনও ধরণের আগ্রাসনের জবাব কঠোরভাবে দেওয়া হবে। পাকিস্তানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, “আমরা আমাদের আকাশসীমা ও ভূখণ্ড রক্ষায় দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। ভারত যদি কোনওরকম সামরিক পদক্ষেপ গ্রহণ করে, তাহলে তার জবাব যথাযথভাবে দেওয়া হবে।”
এই উত্তেজনাপূর্ণ পরিস্থিতিতে আন্তর্জাতিক মহলে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। জাতিসংঘ, যুক্তরাষ্ট্র ও চীন উভয় পক্ষকে সংযম দেখাতে আহ্বান জানিয়েছে এবং কূটনৈতিক সমাধানের পথে এগিয়ে যেতে পরামর্শ দিয়েছে। কূটনৈতিক মহল মনে করছে, এই ধরনের আক্রমণ শুধু দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককেই আরও খারাপ করবে না, বরং গোটা দক্ষিণ এশিয়ার স্থিতিশীলতাকেও হুমকির মুখে ফেলবে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, ভারতের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিও এই সিদ্ধান্তের পেছনে ভূমিকা রাখতে পারে। সাম্প্রতিক নির্বাচনের প্রেক্ষাপটে সরকার জাতীয় নিরাপত্তার ইস্যুতে জোর দিতে চাইছে, যা ভোটারদের কাছে দৃঢ় নেতৃত্বের বার্তা পৌঁছে দিতে পারে।
এই মুহূর্তে দুই দেশের সীমান্তে নজিরবিহীন উত্তেজনা বিরাজ করছে। যদি আগামী ৩৬ ঘণ্টার মধ্যে কোনও হামলা ঘটে, তাহলে তার প্রভাব শুধু সীমান্তেই নয়, আন্তর্জাতিক রাজনীতিতেও পড়বে। বিশ্বজুড়ে উদ্বেগের মধ্যে সকলের নজর এখন দিল্লি এবং ইসলামাবাদের পরবর্তী পদক্ষেপের দিকে।