চলচ্চিত্র পরিচালক, নাট্যকার ও অভিনয়শিল্পী গাজী রাকায়েতের একটি আবেগঘন বক্তব্য সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচনার জন্ম দিয়েছে। একটি টেলিভিশন সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, “মেয়েরা যেন আমার মরামুখ না দেখে, কবর যেন মায়ের পাশে হয়।” তার এই কথাগুলো শোনা মাত্রই অনেক দর্শক আবেগে আপ্লুত হন।
সাক্ষাৎকারে গাজী রাকায়েত বলেন, তিনি মৃত্যুর পর এমন কিছু চায় না যা তার সন্তানদের জন্য মানসিক চাপের কারণ হয়। বিশেষ করে তার মেয়েরা যেন তার মৃত্যুর মুখোমুখি না হয়, এটি তিনি স্পষ্টভাবে জানিয়ে দেন। তিনি বলেন, "আমি চাই না আমার মৃত্যুর মুহূর্তটা আমার মেয়েরা দেখে। এই স্মৃতি যেন তাদের জীবনের জন্য বোঝা না হয়।"
এছাড়াও তিনি তার কবর নিয়ে বলেন, "আমার ইচ্ছা, আমি যেন মায়ের পাশেই শায়িত হই। আমার জীবনে মায়ের প্রভাব ছিল অপরিসীম। তার ভালোবাসা, আদর্শ আর ত্যাগ আমাকে গড়েছে। তাই মৃত্যুর পরও আমি তার সঙ্গেই থাকতে চাই।”
এই বক্তব্যের পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অনেকেই গাজী রাকায়েতের প্রতি শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা প্রকাশ করেন। একজন ফেসবুক ব্যবহারকারী লেখেন, “এই মানুষটা শুধু অভিনয়ই করেন না, তার জীবনের দর্শনও গভীর।” আরেকজন মন্তব্য করেন, “মায়ের প্রতি এমন মমতা আর মেয়েদের প্রতি এমন সংবেদনশীলতা সত্যিই বিরল।”
গাজী রাকায়েত শুধু একজন সফল অভিনেতা নন, তিনি একজন দার্শনিক চিন্তাধারার মানুষ হিসেবেও পরিচিত। তার জীবনবোধ ও পারিবারিক মূল্যবোধ তার কাজের মধ্যেও প্রতিফলিত হয়। “মেয়েরা যেন আমার মরামুখ না দেখে”—এই একটি লাইনের মধ্যেই তার পিতৃত্ব, সংবেদনশীলতা এবং গভীর আত্মচিন্তার পরিচয় মেলে।
তার এই বক্তব্য নতুন প্রজন্মের জন্য একটি বার্তা হিসেবেই দেখা হচ্ছে—মানবিকতা, পারিবারিক ভালোবাসা এবং মৃত্যুর পরের পরিকল্পনাও কতটা গভীর হতে পারে, তা বুঝিয়ে দিলেন এই শিল্পী।
শেষমেশ, তার এই কথাগুলো শুধু বক্তব্য নয়, এটি যেন জীবনের প্রতি এক দার্শনিক দৃষ্টিভঙ্গির প্রতিফলন। গাজী রাকায়েত যেন তার জীবন ও কর্ম দিয়ে আরও অনেকের হৃদয়ে জায়গা করে নেন, এমনটাই প্রত্যাশা দেশবাসীর।