ধানমণ্ডিতে ভয়ংকর ঘটনা, একাই রুখে দিলেন থানার ওসি!

0

 

ধানমণ্ডি থানার অফিসার ইন চার্জ (ওসি) মো. রফিকুল ইসলাম সম্প্রতি এক অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি দক্ষ হাতে সামাল দিয়ে জনমনে প্রশংসা কুড়িয়েছেন। রাজধানীর ব্যস্ত এলাকা ধানমণ্ডিতে এক সন্ধ্যায় এক ব্যক্তিকে চোর সন্দেহে জনতা ঘিরে ধরে। মুহূর্তেই উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে, এবং ঘটনাটি মব সন্ত্রাসের রূপ নিতে শুরু করে। জনতার মধ্যে কিছু ব্যক্তি ওই সন্দেহভাজনকে মারধর শুরু করলে পরিস্থিতি অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে।


এমন সময় খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছান ধানমণ্ডি থানার ওসি রফিকুল ইসলাম ও তার সহকর্মীরা। পরিস্থিতি দেখেই তিনি দ্রুত সিদ্ধান্ত নেন এবং অত্যন্ত কৌশলীভাবে জনতার ভিড়ের মধ্যে প্রবেশ করে সবাইকে শান্ত থাকতে বলেন। মাইক ব্যবহার করে তিনি জনতাকে বোঝান, “আইন নিজের হাতে তুলে নেওয়া কোনোভাবেই উচিত নয়। আমরা তদন্ত করে দেখব সত্যি ঘটনা কী।”


জনতার উত্তেজনা কিছুটা প্রশমিত হলে ওসি নিজেই ওই ব্যক্তিকে পুলিশের হেফাজতে নেন এবং আশ্বাস দেন যে নিরপেক্ষ তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পরবর্তীতে জানা যায়, চোর সন্দেহে ধৃত ব্যক্তি মানসিকভাবে অসুস্থ এবং তার বিরুদ্ধে কোনো প্রমাণ মেলেনি। এতে পুলিশ প্রশাসনের প্রতি মানুষের আস্থা আরও বৃদ্ধি পায়।


এই ঘটনায় ওসি রফিকুল ইসলামের তাৎক্ষণিক উপস্থিতি ও বিচক্ষণ ভূমিকা মব সন্ত্রাসের মতো একটি ভয়াবহ ঘটনা প্রতিরোধে কার্যকর ভূমিকা রাখে। অনেকেই জানান, যদি পুলিশ সময়মতো না আসত, তাহলে হয়তো নিরীহ একজন মানুষের জীবন নষ্ট হয়ে যেত।


সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও ওসির ভূমিকায় ব্যাপক প্রশংসা চলছে। অনেকে বলছেন, “এরকম মানবিক ও সাহসী পুলিশ অফিসার আমাদের সমাজের জন্য আশীর্বাদ।” অনেকে আবার দাবি করছেন, জনসচেতনতা বাড়ানো এবং আইন নিজের হাতে তুলে নেওয়ার বিপরীতে কঠোর বার্তা দেওয়া এখন সময়ের দাবি।


এই ঘটনা আবারও প্রমাণ করে দিল, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর দ্রুত ও মানবিক পদক্ষেপই পারে মব সন্ত্রাসের মতো সামাজিক ব্যাধিকে রুখে দিতে। ধানমণ্ডি থানার ওসি রফিকুল ইসলামের মতো নেতৃত্ব আরও পুলিশ সদস্যদের জন্য অনুকরণীয় হয়ে থাকবে বলেই মত অনেকের।

Post a Comment

0Comments
Post a Comment (0)
To Top