ইসরায়েলের প্রধান বিমানবন্দরে হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে ইয়েমেনের হুতি গোষ্ঠী। তারা ইসরায়েলি বেন গুরিয়ন বিমানবন্দরে হামলা করে এবং মার্কিন বিমানবাহী রণতরী ‘ইউএসএস হ্যারি ট্রুম্যান’সহ কয়েকটি মার্কিন যুদ্ধজাহাজে ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন নিক্ষেপের দাবি করেছে। যদিও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে হামলায় কোনো ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি, তবে এই হামলার ঘটনা আন্তর্জাতিক দৃষ্টিতে বেশ গুরুত্বপূর্ণ এবং উত্তেজনাপূর্ণ।
ইয়েমেনের হুতি গোষ্ঠী জানিয়েছে, তারা ‘ফিলিস্তিন ২’ নামে একটি হাইপারসনিক ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে বেন গুরিয়ন বিমানবন্দরে হামলা চালিয়েছে। হুতির সামরিক মুখপাত্র ইয়াহিয়া সারি দাবি করেন যে, এই অভিযানটি সফলভাবে তার লক্ষ্য অর্জন করেছে। তবে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী জানিয়েছে, তারা হামলার চেষ্টা প্রতিহত করেছে এবং ক্ষেপণাস্ত্রটি ইসরায়েলি ভূখণ্ডে প্রবেশের আগেই ধ্বংস হয়ে যায়।
হুতিরা শুধু বিমানবন্দরে হামলা করেনি, তারা মার্কিন বিমানবাহী রণতরী ‘ইউএসএস হ্যারি ট্রুম্যান’ এবং অন্যান্য যুদ্ধজাহাজের দিকে ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন নিক্ষেপের কথা জানিয়েছে। হুতি গোষ্ঠী এই হামলার মাধ্যমে আন্তর্জাতিক সমর্থন এবং পশ্চিমাদের বিরুদ্ধে এক শক্তিশালী বার্তা পাঠাতে চাচ্ছে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এ বিষয়ে কোনো ক্ষয়ক্ষতি বা প্রতিক্রিয়া জানায়নি। তবে এই হামলা আন্তর্জাতিক মহলে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে, কারণ এটি আন্তর্জাতিক সমুদ্র পথে এবং আকাশে নিরাপত্তার বিষয়টি নতুন করে সামনে এনেছে।
এই হামলার পর আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের মনোযোগ ইসরায়েল, ইয়েমেন এবং যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যকার উত্তেজনা এবং গোষ্ঠীগত সহিংসতার দিকে আরও গভীর হয়েছে। বর্তমান পরিস্থিতি থেকে মনে হচ্ছে, এই ধরনের সামরিক হামলার পরিণতি আরও গুরুতর হতে পারে, এবং এটি যুদ্ধবিরতির পথকেও কঠিন করে তুলতে পারে। তথ্যসূত্র : আল-জাজিরা, প্রেস টিভি