ব্রেকিং নিউজঃ ১৭ বছরের মধ্যে সব থেকে বড় সুখবর সরকারি চাকরিজীবীদের জন্য

News
0
দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর সরকারি চাকরিজীবীদের জন্য এল এক বিরাট সুখবর। ১৭ বছরের মধ্যে প্রথমবারের মতো বড় আকারের বেতন ও ভাতা বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। আজ এক জরুরি মন্ত্রিসভার বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়, যা দেশের প্রায় ২২ লাখ সরকারি কর্মচারীর জীবনে তাৎপর্যপূর্ণ পরিবর্তন আনবে বলে মনে করা হচ্ছে।

সরকারি সূত্রে জানা গেছে, নতুন এই সিদ্ধান্ত অনুযায়ী মূল বেতনের হার গড়ে ২৫% পর্যন্ত বৃদ্ধি পাবে এবং সাথে সাথে মহার্ঘ ভাতা (DA) এবং অন্যান্য সুবিধাও উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়ানো হবে। মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, "সরকারি চাকরিজীবীদের দীর্ঘদিনের দাবি বিবেচনা করে এবং জীবনযাত্রার ব্যয় বৃদ্ধি মাথায় রেখে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আমরা আশা করি এতে কর্মীদের মনোবল বৃদ্ধি পাবে এবং কাজের গতিশীলতাও বাড়বে।"

২০০৮ সালের পরে এবারই প্রথম এত বড় পরিসরে সরকারি কর্মচারীদের বেতন পুনর্গঠন করা হলো। বর্তমান সিদ্ধান্তের আওতায় শুধু কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীরাই নন, রাজ্য সরকারগুলোকেও একই নীতির আওতায় বেতন বৃদ্ধি করার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। ফলে দেশের প্রায় সব স্তরের সরকারি কর্মচারীরা এর সুফল পাবেন।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই বেতন বৃদ্ধি সরাসরি দেশের অভ্যন্তরীণ অর্থনীতিতে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে। বর্ধিত ক্রয়ক্ষমতার ফলে বাজারে চাহিদা বাড়বে এবং সামগ্রিক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে গতি আসবে। তবে একই সঙ্গে কিছু অর্থনীতিবিদ সতর্ক করে বলছেন, সরকারকে রাজস্ব ঘাটতি নিয়ন্ত্রণে বিশেষ নজর দিতে হবে যাতে অতিরিক্ত ব্যয়ের কারণে অর্থনৈতিক ভারসাম্যে নেতিবাচক প্রভাব না পড়ে।

সরকারি ঘোষণা অনুযায়ী, নতুন বেতন কাঠামো আগামী জুলাই মাস থেকেই কার্যকর হবে এবং কর্মচারীরা অগাস্ট মাসের বেতনের সাথে নতুন হারে অর্থ হাতে পাবেন। পাশাপাশি জানানো হয়েছে, জুন মাসের জন্য প্রাপ্য অতিরিক্ত অর্থ এককালীন ভাতা হিসেবে পরিশোধ করা হবে।

চাকরিজীবীদের মধ্যে ইতিমধ্যে খুশির জোয়ার বইছে। রাজধানীসহ বিভিন্ন শহরে সরকারি অফিসগুলোতে কর্মীদের মধ্যে আনন্দের ছাপ স্পষ্ট। অনেকেই বলছেন, বর্তমান মূল্যস্ফীতির সময় এই সিদ্ধান্ত তাদের জন্য বড় একটি স্বস্তি নিয়ে এসেছে।

এছাড়া পেনশনভোগীদের ক্ষেত্রেও সুখবর আছে। সরকার জানিয়েছে, বর্তমান ও অবসরপ্রাপ্ত কর্মচারীদের পেনশনের হারও সামঞ্জস্যপূর্ণভাবে বৃদ্ধি পাবে, যাতে তারা জীবনযাত্রার ব্যয় সামলাতে পারেন।

সব মিলিয়ে বলা যায়, ১৭ বছরের অপেক্ষার পর সরকারি চাকরিজীবীরা অবশেষে তাদের প্রাপ্য সম্মান ও স্বীকৃতি পেলেন। সরকার এই সিদ্ধান্তের মাধ্যমে কর্মচারীদের প্রতি তাদের দায়িত্ববোধ ও প্রতিশ্রুতি আবারও প্রমাণ করলো।

Post a Comment

0Comments
Post a Comment (0)
To Top