অবশেষে ৫ বছর ক্ষমতায় থাকা নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্দান্ত জানালেন ‘স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা’

News
0


 অবশেষে ৫ বছর ক্ষমতায় থাকা নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্দান্ত জানালেন ‘স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা’

অআগামী পাঁচ বছর সরকার ক্ষমতায় থাকবে এমন কোনো মন্তব্য করেননি বলে দাবি করে করে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেছেন বরং এটি জনগণের অভিব্যক্তি।


স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, পাঁচ বছর সরকারকে ক্ষমতায় রাখার বিষয়ে আমি তো কিছুই বলিনি, এটা জনগণ বলেছে। প্রধান উপদেষ্টা তো বলেই দিয়েছেন ডিসেম্বর থেকে জুনের মধ্যে নির্বাচন হবে। আমার তো এটা নিয়ে বলার প্রশ্নই আসে না।


মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) সচিবালয়ে আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত কোর কমিটির সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা এ কথা জানান।


বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে হামলা ও হত্যার দায়ে অভিযুক্ত ওয়ার্ড পর্যায়ের নেতাকর্মীদের আটক করা হচ্ছে। বলা হচ্ছে, রাঘব-বোয়ালদের আটক না করে ছোটদের আটক করা হচ্ছে- এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘এ বিষয়ে আপনার সঙ্গে পুরোপুরি একমত হতে পারবো না। এজন্য যে আমরা কিন্তু রাঘব-বোয়ালদের কাউকে ছাড় দিচ্ছি না। কিন্তু রাঘব-বোয়ালদের তো আমার জালে আসতে হবে। জালে আসার আগ পর্যন্ত তো তাকে আমি ধরতে পারছি না। আমাদের জালে যে আসতেছে ওইটাকে কিন্তু ধরতেছি। তবে কেউ যদি জালে আসার পর যদি আমি ছেড়ে দিছি, তাহলে আমাকে বলতে পারেন।’


আপনি কিশোরগঞ্জে গিয়ে সরকারের পাঁচ বছর থাকা নিয়ে একটা কথা বলেছিলেন। সেটি নিয়ে রাজনীতিতে আলোচনা হচ্ছে। আপনি যদি ব্যাখ্যাটা দিতেন- এ বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আমি তো বলিনি, এটা জনগণ বলেছে, আমি তো কিছুই বলিনি। প্রধান উপদেষ্টা তো বলেই দিয়েছেন ডিসেম্বর থেকে জুনের মধ্যে নির্বাচন হবে। আমার তো এটা নিয়ে বলার প্রশ্নই আসে না।’


চট্টগ্রামে পহেলা বৈশাখের মঞ্চ ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে- এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, ‘ঘটনাটি না ঘটা উচিত ছিল। যেহেতু ঘটে গেছে, ভবিষ্যতে যাতে এ ধরনের ঘটনা না ঘটে আমরা সে চেষ্টা করবো।’


তিনি বলেন, ‘সতর্ক থাকার পরও অনেক সময় এ রকম ঘটনা ঘটে যায়। আমাদের যদি কোনো চেষ্টা ত্রুটি থাকে সে বিষয়ে আপনারা বলেন।’


থানায় গিয়ে এ জনগণ এখনো কাঙ্ক্ষিত সেবা পাচ্ছে না। এতে অপরাধ বেড়ে যাচ্ছে- এ বিষয়ে জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী খোদা বখস চৌধুরী বলেন, ‘পুলিশ অভিযোগ নেয় না, এটা অনেক পুরোনো অভিযোগ। প্রাথমিকভাবে আমরা দুটি জিনিস অনলাইনে করব- জেনারেল ডায়েরি (জিডি) ও এফআইআর। আমরা অনলাইনে জিডি দুটি জেলাতে চালু করতে যাচ্ছি, পুলিশ হেডকোয়ার্টার থেকে আপনারা বিবৃতি পাবেন। অচিরেই এফআইআর-টাও আমরা অনলাইনে করব। এরপরে এ বিষয়গুলোর স্থায়ী একটা সমাধান হবে বলে আশা করি।’


স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা এ বিষয়ে বলেন, ‘আমরা সবকিছু কিন্তু জনগণের জন্য করি। কিছু বিষয় আছে আমরা জনগণের কাছে পৌঁছে দিতে পারি না। আমরা চেষ্টা করে যাচ্ছি, কিন্তু সব ক্ষেত্রে যে সফল হচ্ছি, তা নয়। কিছু কিছু ক্ষেত্রে আমাদের ভুল হচ্ছে, সেটাও সংশোধন করছি।’







দু’ঘন্টার চুক্তিতে হিল্লা বিয়ে করে মসজিদের ছাদে ঈমামের যৌ”ন মি”ল”ন, (ভিডিও লিংকসহ)


ধর্মীয় রীতির নামে বাংলাদেশের মুসলিম সম্প্রদায়ের ধর্মগুরুরা চূড়ান্ত অরাজকতা শুরু করেছে । বাংলাদেশের নোয়াখালীতে ইসলামী রীতি “হালালা”র একটা চাঞ্চল্যকর ঘটনা প্রকাশ্যে এসেছে । পারিবারিক খুঁটিনাটি বিষয় নিয়ে ঝগড়াঝাঁটি সময় একজন মহিলাকে তার স্বামী তিন তালাক দিয়ে দিয়ে বাড়ি থেকে বের করে দিয়েছিল । পরে মহিলার স্বামীর সম্বিৎ ফিরলে স্থানীয় একটি মাদ্রাসার মহতামিমের কাছে পরামর্শ নিতে গিয়েছিল মহিলার পরিবারের লোকজন । ইসমত আলি আশিকী নামে ওই ইসলামিক পন্ডিত নিজেই মহিলাকে নিকাহ করার পরামর্শ দেয় ৷ মহিলা রাজি হয়ে গেলে স্থানীয় মসজিদের ইমাম কাফিল উদ্দিনের সহায়তায় মহিলাকে সে ২ ঘন্টার চুক্তিতে নিকাহ করে । এবং নিকাহের পর বিন্দুমাত্র সময় না নষ্ট করে ওই মসজিদের সিড়িতেই মহিলার সঙ্গে সে যৌন সম্পর্কে লিপ্ত হয় । মসজিদের সমস্ত লাইট অফ করে দিয়ে তাকে এই প্রকার কুকর্ম করতে সহায়তা করে ইমাম কাফিল উদ্দিন । ঘটনাটাকে ঘিরে শোড়গোল পড়ে গেছে বাংলাদেশ জুড়ে ।


বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে জানা গেছে ময়মনসিংহের ধবলপুর উপজেলার কামালপুর গ্রামের বাসিন্দা ইসমত আলি আশিকী । যৌন মিলনের সহায়তাকারী মসজিদের ইমামের নাম কাফিল উদ্দিন । সে টেপিরবাড়ির পশ্চিমপাড়া গ্রামের আরফান আলী শাহী জামে মসজিদের ইমাম । অন্যদিকে ইসমত আলি আশিকী বিগত প্রায় চার বছর যাবত ট্যাঙরা মধ্যপাড়া জামিয়ে উলুম কওমি মাদ্রাসা ও এতিমখানার মহতামিমের দায়িত্ব পালন করে আসছে ।


জানা গেছে, নোয়াখালীর ওই নির্যাতিতা গৃহবধূকে পারিবার ঝামেলার সময় তিন তালাক দিয়ে দেয় তার স্বামী । তারপর আলেমদের সঙ্গে পরামর্শ করার জন্য ওই মহিলাকে গাজীপুরে তার খুড়তুতো ভাইয়ের কাছে পাঠিয়ে দেওয়া হয় । পরামর্শ অনুযায়ী মহিলার খুড়তুতো ভাই তাকে মহতামিম ইসমত আলি আশিকীর কাছে ফতোয়া জানার জন্য নিয়ে যায় । আশিকী জানায় যে পূর্বের স্বামীর কাছে ফিরে যেতে হলে ওই মহিলাকে ফের বিয়ে দিয়ে দিতে হবে । এরপর ইসমত আলি আশিকী নিজেই নিকাহ করার প্রস্তাব দেয় । তাকে এই কাজে সহযোগিতা করে আরফান আলী শাহী জামে মসজিদের ইমাম কাফিল উদ্দিন ।


প্রতিবেদনে জানা গেছে,ইসলামী ধর্মীয় রীতি মেনে মহিলাকে নিকাহ করে ইসমত আলি । কিন্তু মহিলা তার খুমলব বুঝতে পারেনি । নিকাহের পর এক মুহূর্ত সময় নষ্ট করতে চায়নি ইসমত আলি আশিকী । মসজিদের ভেতরে ঘর না পেয়ে অসম্পূর্ণ সিঁড়িতেই মহিলাকে নিয়ে গিয়ে সে যৌন মিলনে লিপ্ত হয় । বিষয়টি যাতে কারোর নজরে না পড়ে সেজন্য মসজিদের সমস্ত লাইট লিভিয়ে দেয় ইমাম কফিল উদ্দিন । শারীরিক সম্পর্ক হয়ে যাওয়ার পর ওই মহিলাকে সে তালাক দিয়ে দেয় এবং বলে যে তার আগের স্বামীর কাছে ফিরে যেতে আর কোন সমস্যা নেই ।


বলা হয়েছে,নিজেকে বড় ইসলামিক বক্তা দাবি করা ইসমত আলি আশিকী বলেছে,’একজন মহিলা ও তার বাড়ির লোক আমার কাছে ফতোয়া জানতে এসেছিল । আমি তাকে হালাল করে দিয়েছি ।’ কিন্তু কার সঙ্গে হালাল করা হয়েছিল তার উত্তর সে দিতে চায়নি । একবার বলে ‘পরে জানাবো’, পরক্ষণে সে বলে,’একজন ফকিরের সঙ্গে তার নিকাহ করে দিয়েছিলাম । এখন আমি তার নাম ঠিকানা বলতে পারব না।’ চারদিক থেকে চাপে পড়ে শেষ পর্যন্ত সে ষড়যন্ত্রের গল্প ফাঁদে ৷ যদিও গত শনিবার(১৫ ডিসেম্বর) বিকালে ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ঘটনার একমাত্র প্রত্যক্ষদর্শী কফিল উদ্দিন৷ এদিকে মসজিদের ভেতরে এহেন কুর্তির কথা জানাজানি হলে এলাকায় তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয় । মসজিদের ইমাম কফিল উদ্দিনকে বরখাস্ত করে মসজিদ কমিটি ও মুসল্লিরা ।


জানা গেছে,পরে নির্যাতিতার স্বামী স্থানীয় আলেমদের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করলে তারা জানায় যে চুক্তিভিত্তিক নিকাহ শরিয়া সম্মত নয়, এটা প্রতারণার সামিল । মসজিদের সভাপতি আলফাউদ্দিন শামীমের বক্তব্য,’মসজিদ হলো পবিত্র স্থান । এটা শুধুমাত্র প্রার্থনার জায়গা । মসজিদের ভিতরে সহবাসের বিষয়টি জানাজানি হলে ইমাম কফিল উদ্দিনকে তাৎক্ষণিকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে ।’ অন্যদিকে মাদ্রাসা সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন বলেছেন,বিষয়টি নিয়ে ম্যানেজিং কমিটিতে আলোচনা হবে । এবং সর্ব সম্মতিক্রমে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে ।।






চলচ্চিত্রের সেটে, হঠাৎ ফোনে পেলেন হিরো আলমের চোখে জল!


কনটেন্ট ক্রিয়েটর আশরাফুল হোসেন আলম ওরফে হিরো আলমের পালক বাবা আবুল রাজ্জাক মারা গেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) রাত ৯টায় রাজধানীর একটি সরকারি হাসপাতালে মৃত্যু হয়েছে তার। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭৭ বছর।


হিরো আলম নিজেই তার বাবার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সংবাদমাধ্যমকে। তিনি জানান, বগুড়া সদরের এরুলিয়া গ্রামের নিজ বাড়িতে আজ (১৬ এপ্রিল) জোহরের নামাজের পর মরদেহের নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। তারপর পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হবে তার বাবাকে।


জানা গেছে, কয়েকদিন ধরেই অসুস্থ ছিলেন হিরো আলমের বাবা। কিছুদিন আগেই আশঙ্কাজনক অবস্থায় আইসিইউতে ভর্তি করা হয় তাকে। ওই সময় হিরো আলম জানিয়েছিলেন, সবাই যেন তার বাবার জন্য দোয়া করেন, যাতে তার বাবা সুস্থ হয়ে ফিরে আসেন সবার মাঝে।

Post a Comment

0Comments
Post a Comment (0)
To Top