শবে কদর হল বছরের সবচেয়ে ফজিলতপূর্ণ রাত। এই রাতে ইবাদত করলে হাজার মাসের (৮৩ বছর ৪ মাস) ইবাদতের সওয়াব পাওয়া যায়। তাই এ রাতে বেশি বেশি নফল নামাজ, কুরআন তিলাওয়াত, দোয়া ও ইস্তিগফার করা উচিত।
শবে কদরের নামাজের নিয়ম ও পদ্ধতি
১. নফল নামাজ
শবে কদরে অন্তত ১২ রাকাত নফল নামাজ পড়ার সুন্নাতি আমল রয়েছে। তবে ইচ্ছা অনুযায়ী আরও বেশি রাকাত পড়া যায়।
পদ্ধতি:
প্রতি ২ রাকাত করে সালাম ফেরাতে হয়।
প্রতিটি রাকাতে সূরা ফাতিহার পর যেকোনো সূরা পড়তে হবে (উদাহরণ: সূরা ইখলাস ৩ বার বা সূরা ফালাক-নাস)।
২. বিশেষ ৪ রাকাত নামাজ
শবে কদরে বিশেষ ৪ রাকাত নফল নামাজ পড়ার ফজিলত রয়েছে।
পদ্ধতি:
প্রথম রাকাতে সূরা ফাতিহার পর ৩ বার সূরা কদর।
দ্বিতীয় রাকাতে সূরা ফাতিহার পর ৩ বার সূরা ইখলাস।
একই নিয়মে বাকি দুই রাকাত পড়তে হবে।
নামাজ শেষে ৭০ বার "আস্তাগফিরুল্লাহ" এবং ৭০ বার "আল্লাহুম্মা আজিরনা মিনান naar" পড়তে পারেন।
৩. তাহাজ্জুদ নামাজ
শবে কদরে তাহাজ্জুদ নামাজ পড়ার অনেক ফজিলত আছে। অন্তত ৮ রাকাত পড়তে পারেন।
৪. সালাতুত তাসবিহ
শবে কদরে ৪ রাকাত সালাতুত তাসবিহ পড়া খুবই ফজিলতপূর্ণ।
৫. দুই রাকাত তওবা নামাজ
গুনাহ থেকে মুক্তির জন্য শবে কদরে ২ রাকাত তওবার নামাজ পড়া উত্তম।
অন্যান্য আমল:
কুরআন তিলাওয়াত করুন।
"লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ" বেশি বেশি পড়ুন।
বেশি বেশি ইস্তিগফার করুন: "আস্তাগফিরুল্লাহ রাব্বি মিন কুল্লি জম্বিন ওয়া আতুবু ইলাইহি"
দরুদ শরিফ পড়ুন।
বেশি বেশি দোয়া করুন, বিশেষ করে: "আল্লাহুম্মা ইন্নাকা আফুউন তুহিব্বুল আফওয়া ফা'ফু আন্নি"
শবে কদর আমাদের জীবনের সবচেয়ে মূল্যবান রাত। তাই এই রাতে যত বেশি সম্ভব ইবাদত করুন, তওবা করুন এবং আল্লাহর নৈকট্য লাভের চেষ্টা করুন।