ঢাকায় বৈদ্যুতিক বাস, বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে কেনা হবে ৪০০-ব্যয় কত?

0


 ঢাকায় পরিবেশবান্ধব পরিবহনের উদ্যোগ হিসেবে বৈদ্যুতিক বাস চালুর প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। এ লক্ষ্যে বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে ৪০০টি বৈদ্যুতিক বাস কেনার পরিকল্পনা চলছে, যা রাজধানীর পরিবহন ব্যবস্থায় একটি বড় পরিবর্তন আনবে।


ঢাকার যানজট ও বায়ুদূষণ দূর করতে সরকার বৈদ্যুতিক বাসের ওপর গুরুত্ব দিচ্ছে। এই বাসগুলো ধোঁয়া নির্গমন কমাতে সাহায্য করবে এবং পরিবেশের জন্য ভালো প্রভাব ফেলবে। পাশাপাশি জ্বালানি খরচও কম হবে, যা দীর্ঘমেয়াদে সরকারের ব্যয়ের ক্ষেত্রে সাশ্রয়ী হবে।


বিশ্বব্যাংক থেকে প্রাপ্ত তহবিলের মাধ্যমে কেনা হবে এই ৪০০টি বাস। প্রকল্পটির বাজেট ও ব্যয়ের বিস্তারিত এখনও চূড়ান্ত হয়নি, তবে ধারণা করা হচ্ছে এটির মোট ব্যয় হবে কয়েকশ কোটি টাকা। এই খরচে শুধু বাস কেনা নয়, সেগুলো চালানোর জন্য অবকাঠামো নির্মাণ, চার্জিং স্টেশন স্থাপন এবং অন্যান্য প্রযুক্তিগত সহায়তাও অন্তর্ভুক্ত থাকবে।


ঢাকার গণপরিবহন ব্যবস্থাকে আধুনিক ও পরিবেশবান্ধব করতে এই প্রকল্পটি গুরুত্বপূর্ণ ধাপ হিসেবে দেখা হচ্ছে। নতুন এই বাসগুলো মূলত ঢাকা শহরের ব্যস্ত রুটগুলোতে চালানো হবে, যেখানে যাত্রী সংখ্যা বেশি এবং যানজট সাধারণ সমস্যা।


সরকারি কর্মকর্তা ও পরিবহন বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বৈদ্যুতিক বাস চালুর মাধ্যমে শুধু পরিবেশের উন্নতি হবে না, একই সাথে যানজট কমিয়ে শহরের মানুষের চলাচল সুবিধাজনক হবে। এছাড়া, নতুন বাস চালু হলে ডিজেল বা পেট্রোল চালিত বাসের ওপর নির্ভরশীলতা কমবে।


কিন্তু এই প্রকল্প বাস্তবায়নের সময় কিছু চ্যালেঞ্জও থাকবে। যেমন, বৈদ্যুতিক বাসের জন্য পর্যাপ্ত চার্জিং অবকাঠামো তৈরি করা, বিদ্যুৎ সরবরাহের ধারাবাহিকতা নিশ্চিত করা, এবং চালক ও মেকানিকদের প্রশিক্ষণ দেওয়া। এছাড়া, বাসগুলোর রক্ষণাবেক্ষণ ও ব্যবস্থাপনায় বিশেষ নজর রাখতে হবে যাতে দীর্ঘমেয়াদে সেগুলো কার্যকর থাকে।


ঢাকার মানুষের জন্য এটি স্বস্তির খবর, কারণ পরিবেশ দূষণ ও যানজটের কারণে অনেক সময় যাতায়াত কষ্টসাধ্য হয়ে পড়ে। বৈদ্যুতিক বাস চালুর ফলে গাড়ির শব্দ কমে আসবে এবং রাস্তার বায়ু মান উন্নত হবে।


বিশ্বব্যাংক সূত্রে জানা গেছে, প্রকল্পটি ধাপে ধাপে বাস্তবায়িত হবে এবং প্রথম ধাপে কিছু বাস দ্রুত চালু করার পরিকল্পনা আছে। এরপর পর্যায়ক্রমে বাকিগুলো যোগ হবে। এতে সরকার ও শহরবাসীর জন্য সময়োপযোগী সুবিধা নিশ্চিত হবে।


এ ছাড়া, বৈদ্যুতিক বাস কেনার অর্থায়ন বিশ্বব্যাংকের পরিবেশবান্ধব প্রকল্পের আওতাভুক্ত হওয়ায় এই প্রকল্পে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সমর্থন রয়েছে। এটি বাংলাদেশের পরিবহন খাতে টেকসই উন্নয়নের দৃষ্টিকোণ থেকে গুরুত্বপূর্ণ।


অবশেষে, ঢাকায় বৈদ্যুতিক বাস চালু হলে পরিবহন ব্যবস্থায় একটি যুগান্তকারী পরিবর্তন আসবে যা পরিবেশ রক্ষা এবং নাগরিক জীবনের মানোন্নয়নে সহায়ক হবে। সরকার ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এ প্রকল্পের সফল বাস্তবায়নের জন্য কাজ করে যাচ্ছে।

Post a Comment

0Comments
Post a Comment (0)
To Top